আপনার স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর Bluetooth এবং WIFI

iklan banner
বর্তমান যুগে ওয়াইফাই,ব্লুটুথ তথা ওয়্যারলেস প্রযুক্তির ব্যাবহার বেশি। তবে রিসার্চ এ দেখা গিয়েছি এইসব ওয়্যারলেস প্রজুক্তি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিপদজ্জনক। ওয়্যারলেস রাউটার কিংবা ওয়াইফাই মোডেম  এ ইউজ করা হয় এক ধরনের  electromagnetic radiation যার সাহায্যে আমরা আমাদের কম্পিউটার কিংবা ডিভাইস এ সিগন্যাল রিসিভ করে থাকি। আমাদের বাসা কিংবা অফিসে ভিবিন্য ধরনের ওয়াইফাই কিংবা ওয়্যারলেস রাউটার কিংবা রাউটিং প্রযুক্তি যাতে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে ভয়ংকর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন (EMF) । এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ইন্টারনেট মডেম,জিপিএস এনাবল ল্যাপটপ কিংবা পিসি, ওয়্যারলেস ডিভাইস এবং আমাদের প্রিয় মোবাইল। এইসব ডিভাইস ইউজ করার ফলে আমাদের শারীরিক এবং মানসিক ক্ষতি হতে পারে আর তা নিয়েই আজকের পোস্ট।
Wifi Health Dangers
কিভাবে ক্ষতি হয়?
DSL রাউটার এবং ক্যাবল মডেম থেকে আপনি অনলাইন কিংবা ইন্টারনেট কানেকশান পাওয়ার জন্যে যে পরিমান ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিভ রেডিয়েশন ইউজ করা হয় তা ভিবিন্ন বিজ্ঞানী এবং হেলথ এক্সপার্ট রা শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতির কারন বলে দাবি করেছেন। এছারাও কিছু কিছু ওয়্যারলেস মডেম এ যে পরিমান এবং যে ফ্রিকয়েন্সি তে রেডিও সিগন্যাল ট্রান্সমিট করা হয় তা একটি মাইক্রোওয়েব ওভেন এ খাবার গরম কিংবা রান্না করার ফ্রিকুয়েন্সির সমান। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতটা ঝুকির মধ্যে আছি আমরা!
ব্যবহার সময়সীমা এবং স্থিতিকাল হতে পারে আরও ভয়ানক
আমাদের বাসা কিংবা অফিসে যে ধরনের ওয়াইফাই রাউটার এবং রাউটিং প্রযুক্তি থাকে তা সাধারণত ব্যাবহার এর পর অফ করা হয় না যদিও তা আমরা আর ব্যাবহার করছি না। এতে করে সেই রাউটিং প্রযুক্তি চলতেই থাকে এবং তা থেকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বিকৃত হতে থাকে ২৪ ঘণ্টা এবং আমাদের বাসযোগ্য স্থানকে করে তুলে স্বাস্থ্যের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ।
কি কি ক্ষতি হতে পারে অথবা এর প্রভাব কি ?
এই তরঙ্গ বিকিরণের দ্বারা আমাদের শরিরিক এবং মানসিক ভিবিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য যেমন মাথা ধরা, মাথা ব্যথা, চোখের দৃষ্টি ঘোলা হয়ে যাওয়া, স্বল্প নিদ্রা, হৃদ রোগ সহ নানান রোগ দেখা দেয়। এছাড়াও আপনি আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করে থাকবেন যে আপনি যখন আপনার মোবাইল কিংবা পিসি থেকে ওয়াইফাই সার্চ করেন তখন আপনার আশে পাশের ওয়াইফাই সিগন্যাল গুলো দেখায়। কিন্তু এটা কিভাবে দেখায়? আপনি অথবা আপনার প্রতিবেশী যখন সার্চ করে তখন তরঙ্গ চলাচল করার সময় তার আশে পাশে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে যার থেকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন উৎপন্ন হয়। এতে করে এই সব তরঙ্গ  আপনার দেহের ভিতরে প্রবেশ করে ভিবিন্ন ক্যান্সার এবং স্কিন ক্যান্সার এর সৃষ্টি করতে পারে। এখানে বলে রাখা ভালো একটি ওয়্যারলেস রাউটার এর যতকাছে আপনি থাকবেন আপনার চারদিকে তরঙ্গ তথা রেডিয়েশনের মাত্রা তত বেশি থাকবে এবং আপনি ততবেশি শারীরিক এবং মানসিক ঝুঁকির দিকে এগিয়ে যাবেন।
তবে এখন উপায় কি? আমরা জানি আমরা এই প্রযুক্তি থেকে বের হতে পারবো না কিংবা বাদ ও দিতে পারবো না। তবে কিছুটা হলেও এর থেকে দূরে থাকতে পারবো। তার জন্যে যা করতে পারি।
*কাজ শেষ আমাদের রাউটার কিংবা রাউটিং প্রসেস অফ করে রাখতে পারি এবং বিনা প্রয়োজনে অন না করলেও পারি।
* এসব ডিভাইস থেকে যথা সম্ভব দূরে থাকতে পারি
* মোবাইল এর ওয়াইফাই কিংবা ব্লুটুথ অযথা অন করে না রেখে অফ করে রাখতে পারি
* শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের এসব ডিভাইস এবং প্রযুক্তি থেকে  যথাসম্ভব দূরে রাখতে হবে
* আমাদের বন্ধু কিংবা অন্যকে এই বিষয়ে সচেতন করতে পারি।
পরবর্তী পোষ্ট
« Prev Post
পূর্ববর্তী পোষ্ট
Next Post »